Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    রাজশাহীতে আসছে না ফণী, চলছে বৃষ্টি



    নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে ফণীর কেন্দ্র যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি অনেকটাই দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে ঢোকার পর শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় অবস্থান করছিল। পর্যায়ক্রমে সেটি আরও উত্তর হয়ে ভারতে ঢুকে পড়বে। ফলে আপাতত রাজশাহীর দিকে আসার আশঙ্কা নেই।
    বিশ্বব্যাপী ঘূর্ণিঝড় পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ‘উইন্ডি ডটকমের’ স্যাটেলাইট চিত্র থেকে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। ফণী রাজশাহীর দিকে না গেলেও এর প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি কখনো বা মুষলধারে, থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে মহানগরীসহ এর আশপাশের এলাকায়। সাথে বয়ে যাচ্ছে হালকা দমকা হাওয়া।
    রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ৬৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টির কারণে এতে প্রায় দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রাজশাহীতে চলমান দাবদাহ প্রশমিত হয়। তবে বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় দেখা দিয়েছে নতুন দুর্ভোগ। তবে ফণী না আসায় মিলছে স্বস্তি।
    এদিকে টানা বর্ষণের কারণে রাজশাহী মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো এখন ফাঁকা হয়ে পড়েছে। অবশ্য ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে সকাল থেকেই রাজশাহীর মানুষজন দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেননি। বর্তমান সড়কের নামমাত্র যানবাহন চলাচল করছে। শিরোইল বাস টার্মিনাল থেকে সকাল থেকে যথা সময়ে ঢাকা উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী কোচগুলো নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে নিয়মিত রুটের ট্রেনগুলোও যথা সময়ে ছেড়ে গেছে। তবে নির্ধারিত সময়ে রাজশাহী আসেনি নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট। ফলে রাজশাহী থেকেও যাত্রীরা ঢাকায় যেতে পারেননি। দুপুর পর্যন্ত তারা রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (র.) বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন।
    এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কেন্দ্র না এলেই রাজশাহীতে সতর্কাবস্থা জারি রয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সকল সরকারি ও আধা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য দুটি আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সজাগ রয়েছে হাসপাতালগুলোও।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728