Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    পদ্মায় পড়েছে নতুন চর, কৃষকেরা দেখছে স্বপ্ন!


    নিজস্ব প্রতিবেদক ,বাঘা:
    প্রয়াত শিল্পী আব্দুল আলিম গেয়েছেন, ‘নদীর একুল ভাগে-ওকুল গড়ে এইতো নদীর খেলা’। শিল্পীর এ গানের প্রতিফল ঘটেছে এবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দুর্গম পদ্মায়। দীর্ঘ ৬ বছর পর নদীতে পানি কমে যাওয়া মাত্র এ বছর বিস্তীর্ণ পদ্মায় চর জেগে উঠেছে। সেই সাথে পড়েছে পলি মাটি।
    এর ফলে সীমান্ত ঘেষা চরাঞ্চলের কৃষকরা এবার নতুন করে ফসল ফলানোর সোনালী স্বপ্ন দেখছেন। তবে নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তলনকারিরা যদি বেপরোয়া হয়ে বালি উত্তলোন করে তাহলে আগামী জোয়ার মৌসুমের পর এসব জেগে উঠা চর আবার ও নদী গর্ভে বিলিন হবে বলেও আশংকা করছেন অনেকে।
    স্থানীয় লোকজন জানান, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মূল পদ্মা নদীতে এখন আর পানি জমে থাকেনা। প্রায় ২০-২৫ বছর থেকে পদ্মায় পড়েছে ফারাককার প্রভাব। ফলে মরু করণ শুরু হয়েছে কয়েক বৎসর যাবৎ। এ উপজেলার প্লাবিত পদ্মা এখন মুল নদী থেকে অনেকটা দক্ষিণ দিকদিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে প্রতি বছর জোয়ার মৌসুমে পদ্মায় পানি বৃদ্দি পেলে সেই পানি পুর্বের মুল নদীতে চলে আসে। ধারাবাহিকতায় এ বছর শত শত মাইল জুড়ে যেসব এলাকায় ধু-ধু চর আর বালি পড়ে ছিলো এবার বন্যার পর সেসব স্থানে পড়েছে পর্যাপ্ত পলি মাটি। সেই সাথে নতুন করে জেগে উঠেছে চর। এতে করে ওই সমস্ত এলাকার কৃষকরা ফসল ফলানোর সোনালী স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
    বাঘার পদ্মা নদী এলাকার কৃষক আবুবক্কর ও ফজলু শিকদার জানান, এ বছর জোয়ার মৌসুমে পদ্মায় ব্যাপক হারে পানি বৃদ্ধি পাই এবং নিম্ন অঞ্চল ব্লাবিত হয়। তবে পানি নেমে যাওয়ার পর যে সব এলাকায় পলি বেষ্টিত চর জেগে উঠে তার মধ্যে কিশোরপুর, গোকুলপুর এবং চকরাজাপুর বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
    তাদের মতে, জেগে উঠা চরে এবার সকল কৃষক ফসল ফলাবেন। তবে নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তলনকারিরা যদি বেপরোয়া হয়ে বালি তুলে তাহলে আগামী জোয়ার মৌসুমের পর এসব জেগে উঠা চর আবার ও নদী গর্ভে বিলিন হবে এবং কৃষকের স্বপ্ন ভেস্তে যাবে।
    চরবাসীরা জানান, বন্যা অথবা পানির অভাবে কোন কোন বছর তারা ফসল ঘরে তুলতে পারে না। এদিক থেকে এবার বন্য পরবর্তী সময়ে সবাই সোনালী ফসল ফলানোর চেষ্টা করছেন। যদি আবহাওয়া ভাল থাকে তাহলে শীতকালিন সকল সবজি আবাদে তারা আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন।
    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লা সুলতান বলেন, চরের মাঠি সবজি চাষাবাদের জন্য অত্যান্ত উপযোগী। আমার জানা মতে, উপজেলার ২ পৌরসভা এবং ৬ ইউনিয়নে যে পরিমান ফসল উৎপাদন হয় তার সমপরিমান ফসল ফলে বাঘার পদ্মা বিধৌত চকরাজাপুর ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চলে।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728