Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    শীতের শুরুতে সরগরম চারঘাটের পুরাতন কাপড়ের দোকান


    আব্দুল মতিন, চারঘাট:
    দেশের অন্য জেলার চেয়ে একটু আগেভাগেই শীত জেঁকে বসে রাজশাহী ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়।রাজশাহীর চারঘাট উপজেলাতেও জানান দিতে শুরু করেছে শীতের হিমেল পরশ। শীত মৌসুমের শুরুতেই উপজেলার ভ্রাম্যমাণ গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে শুরু হয়ে গেছে বেচা-কেনা।
    ভ্রাম্যমাণ এই কাপড়ের দোকানগুলোতে সাধারণত বিক্রি হয় বিদেশ থেকে আমদানি করা পুরানো কাপড়। এক সময় এ ধরনের পুরানো কাপড়- চোপড় সাধারণ মানুষের কাছে ‘নিক্সন’ নামে পরিচিত ছিল। কালের পরিক্রমায় বদলেছে নাম, বেড়েছে কদর আর সেই সাথে দাম। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে মিলে যাওয়ায় শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রাস্তার পাশে পুরানো কাপড়ের দোকানে ভীড় করছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের নারী-পুরুষ।
    শীতের শুরুতে ব্যস্ততা বেড়েছে চারঘাটের ফুটপাত, রাস্তার পাশে সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা মৌসুমী শীতের কাপড় ব্যবসায়ীদের। বাহারি জ্যাকেট, সোয়েটার, হাতমোজা, ট্রাউজার কি নেই এই দোকানগুলোতে? তবে এখানে যা বিক্রি হয় তার সবই বিদেশ থেকে আমদানি করা ব্যবহৃত কাপড়। এসবের পরও ক্রেতাদের আগ্রহ দেখে অবশ্য বোঝা গেল পুরানো কাপড়ে আপত্তি নেই কারও। থাকবেই বা কেন? মার্কেট অথবা শপিংমল থেকে একটি গরম কাপড় কিনতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় তার চেয়ে অনেক কম দামে এখানে মিলছে প্রায় একই ধরনের কাপড়। অবশ্য এসব কাপড়ের ক্রেতাদের অধিকাংশই নিম্ন মধ্যবিত্ত অথবা দিনমজুর শ্রেণীর।
    ফুটপাতে গরম কাপড়ের দাম নিয়ে এ বছর ক্রেতাদের মধ্যে দেখা গেল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আর দোকানিরা বলছেন, দাম বেড়েছে কাপড়ের গাইটের আর সে জন্য কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে সবার কাছে। সামনের দিনে বেচা-বিক্রি নিয়ে তাঁরা বেশ আশাবাদী।
    চারঘাট পৌর শহরের চারমাথা মোড়ের সাথে, চারঘাট - আড়ানী রোডের পাশে,সরদহ বাজার,কাঁকড়ামারী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বসছে শীতের কাপড়ের অস্থায়ী দোকান। ১শ’ থেকে সর্বোচ্চ ৮শ’ টাকায় মিলছে রকমারি সোয়েটার, জ্যাকেট।
    কাপড় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ঠিকানাবিহীনভাবে ব্যবসা করে আসছেন। আজ এখানে তো কাল ওখানে। নেই নিরাপত্তা, মাঝেমধ্যেই উচ্ছেদের মত ঝামেলায় পড়তে হয়। আর তাইতো তাঁরা দেশের অন্য স্থানের মত চারঘাটেও একটি স্থায়ী পুরাতন কাপড়ের বাজারের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দেয়ার দাবি জানালেন প্রশাসনের কাছে।
    শীতের পুরাতন কাপড় বিক্রেতা সলেমান আলী জানান,অল্প অল্প শীত কেবল শুরু হয়েছে।সেজন্য ব্যবসা কম। তবে সন্ধার দিকে বেচাকেনা বেশি হয়।শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে বেচাকেনাও বাড়বে।এ বছর ব্যবসা ভাল হবে বলে আশাবাদী তিনি।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728