বাঘায় গৃহবধুর সঙ্গে ফূর্তির সময় রাতে ধরাপড়ার ৯ ঘন্টা পর শালিসে মুক্তি
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘায় এক ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সেখানে যেতেন সাহাদুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবক। তবে উপজেলার নওটিকা মহল্লার ওই নারীর ঘরে তার সঙ্গে ফূর্তি করতে গিয়ে গভীর রাতে হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি। পরে তাকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখা হয়। সে উপজেলার তেতুলিয়া নওদাপাড়ার মৃত কালু মন্ডলের ছেলে। তার বিরুদ্ধে কেউ মামলা না করায় আটকের ৯ঘন্টা পর মুক্তি পান সাহাদুল ইসলাম। বুধবার (৫ ফেব্রæয়ারি) রাতে সালিশ করে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে নওটিকা এলাকার জয়নালের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন পাশের গ্রামের সাহাদুল। কয়েকমাস আগে ওই গৃহবধুর স্বামী নিজ জেলার বাইরে কাজে যায়। এ সুযোগে রাতে গৃহবধূর ঘরে গিয়ে তার সঙ্গে ফূর্তি করছিল সাহাদুল। তাদের অসামাজিক কর্মকান্ডের সময় জয়নালের ছোট ভাই আয়নাল টের পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় হাতনাতে আটক করে মারধর করেন। জয়নালের ভাই আয়নাল জানান, বুধবার রাত আনুমানিক ১ টার দিকে বাইরে বের হয়ে বিষয়টি টের পান।
জানা গেছে, বুধবার (৫ফেব্রæয়ারি) সন্ধ্যার পর এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে মুনসুর রহমানের বৈঠকখানায় সালিশ বৈঠক হয়। বাজু বাঘা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শালিস বৈঠকে রাত ৯টায় রায় প্রদান করা হয়। এতে সাহাদুলের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মুক্তি দেওয়া হয়। আর ওই গৃহবধুর স্বামী সংসার করতে রাজি না হওয়ায় বাবার বাড়ি চলে যান গৃহবধু। শালিসে উপস্থিত ছিলেন,বাউসা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক, জাহিদ হাসান,ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী, ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম, মহিলা মেম্বর মাজেদা বেগম, ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান,সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এর সত্যতা নিশ্চিত করে আব্দুল লতিফ বলেন, উভয় পরিবারের সন্মতিক্রমে শালিস বৈঠক হয়েছে।
No comments