বাঘায় কার নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার মোটরসাইকেল বহরে ধাওয়া,জনতার রোষানলে প্রহৃত আরেক ছাত্রলীগ নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা :
রাজশাহীর বাঘায় প্রাইভেট কারগাড়ী নিয়ে মোটর সাইকেল চালকদের ধাওয়া করে জনতার হাতে প্রহৃত হয়েছে কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্রাপ্ত সভাপতি সোহানুর রহমান সোহাগের মোটর সাইকেল বহরে ধাওয়া করে কার দিয়ে চাপা মারার সন্দেহে বিক্ষুব্ধ জনতা সবুজ নামের এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে আহত করে বলে জানা গেছে। পরে ঘটনাস্থল খেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত সবুজ বাঘা পৌর সভার মর্শিদপুর গ্রামের কাউন্সিলর মোশারফ হোসেনের ছেলে। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, বুধবার রাত আনুমানিক সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে প্রাইভেট কারগাড়িতে বাড়ি ফিরছিল সবুজ ইসলাম। অপরদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে আড়ানি বাসায় দেখা করে একইদিন রাত সাড়ে ৯টায় পৃথক দুইটি মোটরসাইকেলে নিজ গ্রাম তুলশিপুরে ফিরছিল মনিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জিল্লুর রহমানের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সোহানুর রহমান সোহাগসহ তার সহকর্মীরা। পথিমধ্যে রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে তারা মুখোমুখি হয় বাঘা পৌর এলাকার ছাতারি ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্র এলাকায়। এসময় সবুজের প্রাইভেট কারের আলো হাই লো এর কারণে চোখে লেগে পাঁকা রাস্তা থেকে কাাঁচা রাস্তায় নামে সোহাগ ও তার সহকর্মীরা। এনিয়ে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে মোটর সাইকেল নিয়ে চলে যায় তারা। পরে কার নিয়ে তাদের ধাওয়া করে সবুজ। মনিগ্রাম বাজারের উত্তরে তুলশিপুর রোডে গিয়ে বেরিকেটে পড়ে প্রহৃত হয়।
সরেজমিন বৃহসপতিবার বিকেলে মনিগ্রাম বাজারের গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে ওই বাজারের বুলবুল ষ্টোরের ব্যবসায়ী শমসের জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে তুলশিপুর রোড দিয়ে পৃথক দুটি মোটর সাইকেলে যাচ্ছিল তারা। পেছন থেকে যাওয়া কারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে তারা পড়ে যায় । ব্রাক করে ফেরার সময় কারের ধাক্কায় ট্রাক বন্দোবস্তকারি অফিসের সার্টারে লেগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়ে প্রহৃত হয়।
ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ দাবি করে বলেন, তাকেসহ অন্যদের কার চাপা দিয়ে মারার উদ্দেশেই ছাতারি এলাকা থেকে মনিগ্রাম বাজার এলাকা পর্যন্ত ধাওয়া করে পেছন থেকে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়ে। তবে কার ভাংচুর করার এমন অভিযোগ অস্বিকার করেছেন তিনি।
সবুজ বলেন, সড়কে চলার সময় প্রাইভেট কারের আলো হাই লো করছিলেন। এসময় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহাগ মা মাসি তুলে গালি গালাজ করে। কারটি ব্যাক করে তাদের পেছন পেছন মনিগ্রাম তুলশিপুর রোড়ে যাই। সেখানে তারা রোডে মােটরসাইকেল ফেলে দিয়ে বেরিকেট দেয়। মোটর সাইকেলে ধাক্কা দেওয়ার কথা অস্বিকার করে সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, কারটি ব্যাক করে ফেরার সময় গাড়িতে ইট পাটকেল মেরে গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করে। গাড়ি থেকে নামলে তাকে হাতুড়ি দিয়ে বেড়ধরক মার ধর করে আহত করে। স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় বউ মেয়ে নিয়ে একটি ঘরে আশ্রয় নিই। পরে স্থানীয় কয়েকজন নেতাসহ পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল ওয়াহাব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,সবুজের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত আাইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

No comments