Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    চারঘাটে কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া ও দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

    নিজস্ব প্রতিবেদক ,চারঘাট : রাজশাহীর চারঘাটে পুরোনো টায়ার থেকে ‘গ্রিন ওয়েল’ উৎপাদনের কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া এবং বর্জ্যের পঁচা দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। অপরিকল্পিতভাবে ফসলি আবাদী জমির ওপর কারখানা গড়ে উঠায় চারপাশের ফসলি জমিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।এ বিষয়ে গ্রামবাসী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
    শনিবার সরেজমিনে দেখা যায, চারঘাট উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে শলুয়া-নন্দনগাছী সড়কের পাশে নুরুর মোড়ের জনবসতিপূর্ণ স্থানে BRMP নামে কারখানাটির অবস্থান। আশপাশে রয়েছে অসংখ্য ফসলি জমি। ওই এলাকায় যেতেই ঝাঁজালো গন্ধ লাগে নাকে। দূষিত বায়ুতে আশে পাশে শ্বাস নেওয়াটাই যেনো কষ্টকর।
    কারখানার কর্মকর্তারা বললেন, আধুনিক প্রযুক্তিতে পুরোনো টায়ার থেকে গ্রিন অয়েল উৎপাদন করা হয় যা জ্বালানি তেল হিসেবে বাজারে বিক্রি করা হয়। পাশাপাশি বর্জ্য হিসেবে বের হওয়া কার্বন বিক্রি করা হয় ইটভাটায়।
    কারখানা থেকে কয়েকশ গজ দূরের একটি বাড়ির গৃহিণী আয়েশা বেগম বলেন, ‘কারখানাটিতে রাতে যখন টায়ার পোড়ানো হয়, তখন তীব্র গন্ধে ঘরে থাকা দায়।এতে আমার এবং ছেলেমেয়েদের হাঁচি-কাশিসহ নানা রোগব্যাধি দেখা দিয়েছে।’
    নুরুর মোড়ের পাশের  আবদুর রব নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘কারখানাটির বিষাক্ত গ্যাসের কারণে এলাকায় বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারখানার প্রায় আধা বর্গকিলোমিটার এলাকার বাতাসে ঝাঁজালো গন্ধ ভেসে বেড়ায়। কিছুদিন ধরে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা কারখানাটি বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে আসছি।’
    স্কুলছাত্র মোঃ ওছমান বলল, ‘গন্ধের কারণে কারখানার পাশ দিয়ে স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। দম বন্ধ হয়ে আসে।’এ বিষয়ে হৃদ্র রোগ বিভাগের কনসালট্যান্ট করিমুল হুদা সিরাজী বলেন, ‘বাতাসে সালফার ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের প্রভাবে মানুষের ফুসফুসে সমস্যা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি হাঁচি-কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।’
    তবে এ বিষয়ে ঐ ‘গ্রিন ওয়েল’ কারখানার মালিক বাবু আহমেদ বলেন, এরকম একটি কারখানা চালাতে যতগুলো শর্ত মানা প্রয়োজন তার সবগুলো শর্ত মেনেই আমার কারখানাটি চলতেছে। চুড়ান্ত পরিবেশ ছাড়পত্রসহ সব রকম ছাড়পত্র আমার রয়েছে। তবে একটি পক্ষ আমার কাজে বাধা দেবার জন্য অপ্রচার চালাচ্ছে। রাজশাহী জেলার সকল রাজনৈতিক নেতারা আমার কারখানার কথা জানে,তারা আমাকে চালাতে বলেছে। আর এই কারখানা থেকে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
    সার্বিক বিষয়ে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজমুল হক বলেন,এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে এর আগেই মৌখিক অভিযোগ পেয়ে কারখানার মালিকের সাথে আমি কথা বলেছি। তিনি তার সকল কাগজপত্র দাখিল করেছেন।তবে কাগজপত্র ঠিক থাকলেও এলাকাবাসীর স্বার্থে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728