ছয় মাসেও চারঘাটে কোনো স্কুলে লাগানো হয়নি বায়োমেট্টিক মেশিন!
নিজস্ব প্রতিবেদক, চারঘাট:
সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের যথা সময়ে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক হাজিরা সিস্টেম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বছরের ২৬ জুন মাসে এক চিঠিতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি বিদ্যালয়গুলো স্লিপের ফান্ড থেকে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কিনবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপন করা হয়নি। ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপনে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগ্রহী না হওয়ায় এখনো কার্যক্রম শুরু করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তবে গত ৩০ জুন ভুয়া বিল ও ভাউচারে এসব অর্থ উত্তোলন করেছেন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্লান) প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয় করতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো ৬টি চিঠিতে বায়োমেট্টিক হাজিরা মেশিন ক্রয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নে স্লিপ প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কেনার কথা বলা হয়। স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিগত একাউন্টে বরাদ্দকৃত এসব টাকা জমা রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে গত ৩০ জুন সবগুলো বিদ্যালয় ডিজিটাল হাজিরা মেশিন না কিনে ভুয়া বিল ও ভাউচারে টাকা উত্তোলন করে।
আরো জানা যায়, সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় স্লিপের টাকা উত্তোলন করলেও চারঘাট মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করে। আর বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনো বায়োমেট্টিক হাজিরা ক্রয় করেননি। এদের বেশিরভাগ বিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। নানা অজুহাতে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে নিয়মিত অনুপস্থিত থাকেন। কিন্তু পরবর্তীতে হাজিরা খাতায় তাদের উপস্থিতির স্বাক্ষর ঠিকই থাকে। এমনকি আসলেও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিদ্যালয় ছুঁটি দিয়ে চলে যায় তাঁরা। শুধু তাই নয় শিক্ষকদের অনেকেই বিদ্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করে দেরিতে উপস্থিত হন। যার ফলে ব্যাহত হয় প্রাথমিকে শিক্ষা কার্যক্রম। এ অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষায় উন্নয়ন ঘটাতে সনাতন হাজিরা পদ্ধতি বাতিল করে বায়োমেট্টিক হাজিরার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
অভিযোগ উঠেছে, ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখা সব টাকা উত্তোলন করে খরচ করে ফেলেছে। তাই নতুন করে কোনো বরাদ্দ না পাওয়ায় ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কিনতে পারবেন না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধানরা জানান, গত ডিসেম্বর মাসে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে স্লিপের টাকায় বায়োমেট্টিক হাজিরা না কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়। সে আদেশ অনুযায়ী তাঁরা স্লিপের টাকায় বায়োমেট্টিক হাজিরা ক্রয় করেনি। পরবর্তী চিঠি না পাওয়া পর্যন্ত বায়োমেট্টিক হাজিরা ক্রয় করা থেকে বিরত থাকবে প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রশিদা ইয়াসমিন বলেন, শিক্ষা দপ্তর থেকে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন কেনা স্থগিত করা হয়েছে। সেজন্য বায়োমেট্রিক কেনা হয়নি। তবে বরাদ্দের টাকা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে জমা আছে বলে তিনি দাবী করেছেন। তিনি বলেন, ঐ বরাদ্দের টাকা অন্য কাজে খরচ করার অনুমতি নেই।##
চারঘাটের কিছু বিদ্যালয়ে ছাএ/ছাত্রী দূরের কথা স্যার/ম্যাডামরাই জানে না এ মেশিন সম্পর্কে।<
ReplyDeleteমাথার উপরের ছাদই ফুটা