চারঘাটে প্রশাসনের ভয়ে রাতের আধাঁরে চলছে পুকুর খনন
আব্দুল মতিন, চারঘাট:
রাজশাহীর চারঘাটে উপজেলা প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযানেও বন্ধ হচ্ছে না পুকুর খনন। দিনে অভিযান চলায় রাতের আঁধারে চলছে পুকুর খনন। কৌশল পরিবর্তন করে রাতের আঁধারে আম বাগানসহ তিন ফসলি জমি নষ্ট করে চলছে কাজ। এতে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন স্থানীয়রা। যে কোনো সময় পুকুর খননকারীদের সঙ্গে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ঘটতে পারে সংঘর্ষ। তাই দ্রুত এসব পুকুর খননকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, গত কয়েক মাসের ব্যবধানে চারঘাট উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে আম, কলা, বড়ইসহ বিভিন্ন ফলের বাগান ও ফসলি জমি ধ্বংস করে খনন করা হয়েছে প্রায় শতাধিক পুকুর। কখনও দিনের বেলায় আবার কখনও রাতের আঁধারে খনন করা হয়েছে এসব অবৈধ পুকুর।
তবে কয়েক দিন আগে কয়েকটি পত্রিকায় অবৈধ পুকুর খননের সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় প্রশাসন ধারাবাহিকভাবে অভিযান শুরু করেন। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে দিনের বেলায় উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চালালেও কৌশল পরিবর্তন করে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে পুকুর খননে মেতেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় থামছে না পুকুর খনন।
গত কয়েকদিন ধরে সরেজমিনে উপজেলার নাওদাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার রানা ও আতাউর নামের দু’জন ব্যক্তির প্রায় সাড়ে ৭ বিঘা গমের জমি লিজ নিয়ে সেখানে রাতে পুকুর খনন করছেন পুঠিয়া উপজেলার জামিরা গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি ইসমাইল হোসেন। প্রশাসনকে পাহারা দিতে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বসিয়ে রাখছেন পাহারাদার। যাতে করে প্রশাসনের লোক এলেই মাটি কাটা ভ্যাকু মেশিন ফেলে পালিয়ে যেতে পারেন।
বিষয়টি সম্পর্কে পুকুর খননকারী ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি উচ্চপর্যায় থেকে পুকুর খননের অনুমতি নিয়ে এসেছি। তাহলে রাতের বেলায় কেন পুকুর খনন জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদকের সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন।
বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিনের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি ভেকু মেশিন জব্দ করে ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে অবৈধ পুকুর খনন। তার পরেও রাতের আঁধারে পুকুর খননের সংবাদ পেলে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।##
No comments